40 C
Dhaka
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, | সময় ৪:১৬ অপরাহ্ণ

ভূঞাপুরে ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় থামছেই না

হাসান মাহমুদ, টাঙ্গাইলঃ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই সদস্য প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতীকের ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. সামাদ নাঈম তার প্রতিদ্বন্দ্বি মোরগ প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন নান্নুর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- সদস্য প্রার্থী সামাদ নঈম, তার বড় ভাই ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছালাম, চাচাতো ভাই শিহাব উদ্দিন, জহির উদ্দিন ও চাচা কামরুজ্জামান। এছাড়া অপর সদস্য প্রার্থী নান্নুর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আতিক, তামিম, নাহিদ ও শফিকুল নামে আহত হয়। এদের মধ্যে উভয়পক্ষের ৮জন ভূঞাপুর ও টাঙ্গাইল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রুহুলী পশ্চিমপাড়ায় ইউপি সদস্য প্রার্থী মোরগ প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন নান্নু এলাকায় টাকা দিয়ে ভোট কিনতে ছিল। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাধাঁ দিলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়। পরে গুরুত্বর আহতবস্থায় ৮ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকরা ভাঙচুর ও সদস্য প্রার্থী নান্নুর বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভার ভিডিও ধারণ করতে গেলে বাঁধা দেয়া হয়।
এদিকে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে ইউপি সদস্যে প্রার্থী মোরগ প্রতীকের প্রার্থী লিয়াক হোসেন নান্নু নির্বাচনী মিছিল ও পথসভা করেছে। ইউপি সদস্য প্রার্থী সামাদ নঈম জানান, রাতে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোট চাইতে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী লিয়াক হোসেন নান্নুর এলাকায় যাই। সে সময় তার কর্মী বাহিনীরা ওই এলাকায় প্রত্যেক ভোট টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে জানায় এবং ভোট চাইতে বাঁধা দেন। পরে এক পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ৪ জন কর্মী গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার ঘটনায় পুলিশকে জানানোর পর তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অভিযোগের বিষয়ে মোরগ প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন নান্নু হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, হামলার ঘটনাটি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দুলাল হোসেন চকদার মিমাংসা করে দিয়েছেন। এরআগে প্রতিপক্ষরা টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছিল। পরে তারা কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার কয়েকজন কর্মী আহত হয়।
ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুল বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই সদস্য প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি।

আরও পড়ুন...

৫ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো মোরসালিন এর লাশ

Al Mamun Sun

সোনাইমুড়ীতে নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভয়ভীতি ও এজেন্ট না দেয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ

Al Mamun Sun

গোমস্তাপুরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০২ জন

Al Mamun Sun
bn Bengali
X