মাহির আমির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
রাত পোহালে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব। শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে ঘুড়ি, নাটাই, সুতার বেচাকেনা। উৎসবের আমেজে সাজ সাজ রব নেমে এসেছে পুরান ঢাকার অলি – গলিতে।
(বৃহস্পতিবার) পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজার, ধূপখোলা মাঠ, নারিন্দা, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সাকরাইন উৎসবের শেষ দিনের প্রস্তুতি সম্পর্কে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা জনাব খালেক সরদার জানান, সাকরাইন আমাদের বাপ দাদাদের উৎসব। এই দিনে আমরা ছোট – বড় সকলে মিলে বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উৎসব করি, রাতের বেলায় প্রত্যেকটা ছাদে আতশবাজি, ফানুস উড়ানো, হরেকরকমের লাইটিং, ভালো খানাপিনার সহ গান বাজনার আয়োজন করা হয়। সবাই মিলে আমরা অনেক আনন্দ করি সাকরাইন উপলক্ষে।
শাঁখারি বাজারের ব্যবসায়ী রতন কুমার বলেন, সাকরাইন উপলক্ষে আমাদের প্রতিবারে ভালো বেচাকেনা হয়। তবে এবারের শুরুর দিকে একটু কম হলেও বাজার এখন জমে উঠেছে পুরোদমে। আমাদের কাছে ঘুড়ি, নাটাই সুতা সহ ঘর সাজানোর যাবতীয় সাজসজ্জা রয়েছে।
পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও মৌসুমি ব্যাবসায়ি ফেরদৌস আলমের দোকান ঘুরে দেখা যায়, বাহারি রঙের ঘুড়ি, সুতা, ও নাটাইয়ের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন তার দোকানে। পাশাপাশি একজনে দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে “ঘুড়ি, ঘুড়ি” বলে হাকডাক দেখছেন ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে।
তার দোকান ঘুরে দেখে যায় সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে নানান ধরনের ঘুড়ি নিয়ে এসেছে। যার মধ্যে রয়েছে, ভোয়াদার, চক্ষুদার, দাবাদার, রুমালদার, চিলদার, রকেট, স্টার, গুরুদার সহ অসংখ্য ঘুড়ি। একেকটা ঘুড়ির সর্বমিম্ন দাম পাঁচ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা দামের ঘুড়ি রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নাটাই, যার দাম সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা এবং সুতার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৫০ থেকে থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, আগামীকাল বিকেল পর্যন্ত চলবে ঘুড়ি বেচাকেনা সহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম সমূহ। সেই সঙ্গে জমে উঠবে সাকরাইন উৎসবের আমেজে পুরান ঢাকাবাসী।