ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ৩নং হোসেনগাঁও ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের কর্মসূচির লটারী করনে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা।
২৬ শে জানুয়ারী অফিস চলাকালীন সময়ে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হতদরিদ্রদের কর্মসুচীর লটারী অনিয়ম বহিভূত ভাবে করায় ঐ ইউনিয়ের ভুক্তভোগী আজগর ,জয়নব, জেসমিন ও খাইরুল বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার কবীরের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগসুত্রে জানা যায়,হতদরিদ্রদের কর্মসূচির লটারীতে ১১০ জন সুবিধা ভোগী সহ নামীয় টোকেন উত্তোলন করা হয় এবং এই লটারীতে পুরোনোদের নাম রয়েছে মর্মে অভিযোগে প্রকাশ থাকে।
ভুক্তভোগীদের দাবী যাচাই বাছাই করে ১৩৯ জনের নামীয় লটারীর তালিকা করা হউক।
এ বিষয়ে হোসেনগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহাবুব আলমের সাথে মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।
অন্যদিকে হোসেনগাঁও আঃলীগ সভাপতি রব্বানী এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, আমি একজন ইউনিয়ন আঃলীগ সভাপতি আমার দেখার দ্বায়িত্ব আছে তাই কাউন্সিলে গিয়েছিলাম হতদরিদ্রদের কর্মসুচীর লটারীতে অনিয়ম করা হয়েছে, ৫০০ জনের আবেদন করা হলেও নিজের ইচ্ছামত বাছাই করে ২০০ জনের লটারি করা হয় এতে ১৩৯ জনের লটারি করার কথা থাকলেও লটারি করা হয়েছে ১১০ জনের আমি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন এই অসহায়দের নিকট অনলাইনে আবেদনে প্রায় ২ থেকে আড়াইলক্ষ টাকা
টেক্সের নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সুবিধা বঞ্চিতরা তদুপরী সহায় সম্বলহীন হয়ে লটারীতে ভাগ্যের চাকা ঘুরেনি ফলে হতাশ হয়ে পরেছেন।তিনি বলেন এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তোবায়ন কর্মকর্তা সামায়েল মার্ডির নিকট গিয়ে কথা বললে তিনি পরবর্তীতে লটারী করার আশ্বাস দেন।
ইউনিয়ন আঃলীগ সম্পাদক বলেন, সুবিধা বঞ্চিতদের যেন এই কর্মসুচীতে সংযোজন করা হয় সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তোবায়ন কর্মকর্তা সামায়েল মার্ডির সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বরাদ্দে যে কয়জন থাকবে সে কয়জনের ওই লটারি করা হবে।