31 C
Dhaka
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, | সময় ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

জোহা দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি – রাবি উপাচার্য

স্বজন কুমার রায়,রাবি প্রতিনিধি:

‘মহান শিক্ষক ড.সৈয়দ মুহাম্মদ শামসুজ্জোহার স্মৃতি চির স্মরণীয় করতে ১৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস করার দাবি দীর্ঘদিনের। এই দাবি বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে। মহান এই শিক্ষকের স্মৃতি চির অম্লান করতে সরকারের কাছে এ দিনকে জাতীয় শিক্ষক দিবস করার ঘোষণার দাবি জানাই’, বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়(রাবি) উপাচর্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।  

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয় জোহা চত্বরে অবস্থিত শহীদ ড. শামসুজ্জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এ দাবি জানান তিনি।

এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশর স্বাধীকার আন্দোলন ‘৫২ সাল থেকে ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত যে মহান মানুষেরা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম এক আত্মত্যাগকারী হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব শহীদ ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। তিনি দেশের স্বাধীকার আন্দোলনের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। পাক বাহিনীর হাতে শিক্ষক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জোহার মৃত্যুর পর স্বাধীকার আন্দোলন আরো তীব্র আকার ধারন করে।  তাঁর আত্মাহুতির দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা যোগায়। আমাদের উচিত উনার আদর্শকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। 

এছাড়া শহীদ ড. শামসুজ্জোহা সমাধিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষ হলে শিক্ষক সমিতিসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

উল্লেখ, গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনে হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হন দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ও তৎকালীন প্রক্টরের দায়িত্বে ছিলেন।

১৯৬৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি। সার্জেন্ট জহুরুল হকের মৃত্যুর খবর শুনে দেশব্যাপী গণ আন্দোলনের ছড়িয়ে পরে। ১৮ই ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করার চেষ্টা করে। প্রক্টর শামসুজ্জোহা তখন বুঝতে পারেন আন্দোলনকারী ছাত্ররা মিছিল বের করলে অনেক ছাত্রের প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি নিজের জীবনবাজি রেখে শিক্ষার্থীদের মূল ফটক থেকে ফিরে যেতে বলেন। পাক সেনাসদস্যরা তখন মিছিলের সম্মুখভাবে অবস্থান করছিলেন। এই সঙ্কটাপন্ন মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের প্রাণ বাঁচাতে শামসুজ্জোহা নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন পাক সেনাসদস্যদের।

শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা বলেছিলেন, ‘দয়া করে গুলি ছুঁড়বেন না, আমার ছাত্ররা এখনই চলে যাবে এখান থেকে’। পাক বাহিনী কথা না শুনলে, ড.শামসুজ্জোহা আবার বলেন, যদি কোন ছাত্রের গায়ে গুলি করতেই হয় তবে আমার গায় গুলি করতে হবে। কিন্তু সেনা সদস্যরা তাঁর সব কথা উপেক্ষা করে ড.শামসুজ্জোহার উপর গুলি চালায় তৎকালীন পাক সেনারা। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাঁকে পাকিস্তানি বাহিনী নৃশংসভাবে হত্যা করে। আজকে শহীদ ড.শামসুজ্জোহার ৫৩তম প্রয়াণ দিবস।

আরও পড়ুন...

দ্বিতীয়বার হলের খাবারের মান পরিদর্শনে রাবি উপ-উপাচার্য

Al Mamun Sun

অনলাইনে নয় রাবিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস-পরিক্ষা বহাল

Al Mamun Sun

জবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

Al Mamun Sun
bn Bengali
X