তাপস কর,জেলা প্রতিনিধি,ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জসহ সারা দেশে পালিত হয়েছে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস।স্থায়ী শহীদ মিনার ছাড়াও গ্রামাঞ্চলে অস্থায়ী ভাবে কলাগাছের তৈরি শহিদ মিনারে শহীদের স্মরণে অনেকেই ফুল দিবে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।কিন্তু উপজেলার সোহাগী বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে শহিদ মিনারটি পড়ে আছে অযত্ন অবহেলায়। শহিদ মিনারের পাদদেশ ছাড়াও আশপাশ যেন এক ময়লার ভাগাড় ও পয়ঃনিস্কাশনের স্থান।স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক যুগ আগে নির্মিত হয় শহীদ মিনারটি। নির্মাণের পর থেকেই শুধুমাত্র রক্ষানা বেক্ষনের অভাবে শহীদ মিনারটি পাদ দেশ ছাড়াও আশপাশ এখন পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।স্থানীয় বাসিন্দা,ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, বছরে একবার ভাষার মাস এলেও এই শহীদ মিনারটি সংস্কার বা পরিষ্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি ইউনিয়ন পরিষদ।সোহাগী বাজারের সকল ধরনের ময়লা আর্বজনা এখানে ফেলা হয়। ফলে চারপাশেই রয়েছে ময়লার স্তুপ। ভাষা দিবসের মাসে শহীদ মিনারের এমন দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মিনারের পাদদেশ ও এর আশপশে জমে রয়েছে ময়লা আর্বজনার স্তুপ। ইউনিয়ন পরিষদের সামনে হওয়ায় ময়লা আর্বজনার পঁচা গন্ধে এর পাশ দিয়ে চলা দায়। এছাড়াও বাজারে আশা লোকজন সুযোগ বুঝে মুত্র ত্যাগ করে এখানেই।এ ব্যাপারে সোহাগী এলাকার বাসিন্দা সিনিয়র আইনজীবি মো.এমদাদুল হক বলেন, ভাষা শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা মাতৃভাষা পেয়েছি। আর ভাষা শহীদদের স্মৃতি ও আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পাড়া মহল্লায় ও গুরুত্ব পূর্ন স্থানে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়। শহীদ মিনার শুধু একদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নয়। শহিদ মিনার ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগের দলিল। কোনো ক্রমেই এর অবহেলা কাম্য নয়।এ বিষয়ে সোহাগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন শ্রমিক বলা আছে রাতের কোনো এক সময় পরিষ্কার করার কথা ছিলো।