27 C
Dhaka
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, | সময় ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

ধান ক্ষেতে খাবারের খোঁজে অতিথি পাখি বকের আনাগোনা।

মোঃ ইমরান ইসলাম, নিয়ামতপুর(নওগাঁ)প্রতিনিধিঃ

ঝাঁকে ঝাঁকে কানি সাদা বক, কীট পতঙ্গ পুটি মাছে লোভাতুর চোখ করে চক চক। উঁচিয়ে দীর্ঘ গলা মত্ত যখন শিকারের নেশায় ফেলে পা, জানে না পরবে কখন কার পাতা ফাঁদে। অজানা শঙ্কা ভয়ে ছম ছমে গা, খাবার খেতে গিয়ে নিজে হয় অন্যের খাবার তাতে যায় আসে কার। উড়ে যায় সাঁঝ বেলা ডানা ঝাপটে আকাশ নীলিমায় রেখে যায় চিহ্ন ঝরে পরে পালক নদী বিল জলাশয়ে। অবাক বিস্ময়ে সৌন্দর্য খোঁজে বুড়ো, যুবক, যুবতী, বালক কবি ইকবাল কবীর রনজুর বক কবিতায় ঠিক এভাবেই ব্যক্ত করেছেন বকের করুন পরিণতি।বোরো মৌসুমে নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলার ফসলের মাঠে চলছে চাষ ও ধান রোপণ। সেচের পর জমিতে পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ হচ্ছে। সেচ ও চাষের সময় মাটিতে লুকিয়ে থাকা পোকা-মাকড় উঠে আসে। সেসব পোকা খেতে জমিতে বাড়ছে বকের আনাগোনা। বোরো ধানক্ষেতে আসছে সাদা, ধূসর রঙের বকের সারি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাবারের খোঁজে জমির উপর উড়ে বেড়ায় তারা। বকের পাশাপাশি ফিঙ্গে শালিক ওড়াউড়িও চোখে পড়ার মতো। সুযোগ পেলেই জমিতে নেমে পড়ে খাবারের খোঁজে।নিয়ামতপুর উপজেলার শালবাড়ী, হরিপুর, দারাজপুর, রাজাপুর,রশিদপাড়া,শ্রীমন্তপুর, ফুলহারা, ফুলহারা বড় সমাসপুর মাঠের ধানক্ষেতে দেখা মিলে প্রচুর বকের। জমিতে নেমে পোকা-মাকড় ধরে গিলে তারা।উপজেলার ফুলহারা গ্রামের নূরুন নবী জানান, আমাদের এখানে মাঠে-ঘাটে প্রচুর বক দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ফসলী জমির মাঠে ও বাঁশঝাড়ে। এ মুহূর্তে শামুকখোলা ও কানি বকের সংখ্যাই বেশি।তিনি আরোও জানান, ধূসর রঙের বক স্থানীয়দের কাছে কানি বক নামে পরিচিত। এরা একা একা কীটপতঙ্গ ধরে খায়। আর সাদা বক দলবদ্ধভাবে উড়ে বেড়ায়। ঝাঁকে ঝাঁকে কৃষি জমির উপর উড়ে বেড়ায়। পানি আছে এমন জমিতে গিয়ে বসে। দারাজপুর গ্রামের রানা বাবু জানান, এখন থেকে ১০-১৫ বছর আগে যে পরিমাণ বক দেখা যেত, বর্তমানে তেমন দেখা যায় না। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফসলী জমিতে বক দেখা যাচ্ছে।কিন্তু এখন চিরন্তন বাংলার সাহিত্য অলংকার ও গ্রামের ঐতিহ্য অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক এই সাদা বক আগের মতো আর দেখা মিলেনা। এই পাখিটি বৈষয়িক পরিবেশ দূষণ, লোভী পাখি শিকারিদের ক্রমশ ফাঁদে পড়ে এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।উপজেলা কৃষি অফিসার আমীর আব্দুল্লাহ ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, কৃষির জন্য বক অনেক উপকারী। সুন্দর পরিবেশ ও জীববৈচিত্র বাঁচিয়ে রাখার জন্যে আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহারের বিকল্প নেই। এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে শস্য উপকারী পাখি ফসলি জমি থেকে ক্ষতিকর পোকামাকড় নির্ভয়ে খেয়ে ফেলতে সুযোগ পাবে। এতে করে মাটি তার পরিপূর্ণ পুষ্টিতা পাবে, ফসল ফলবে ভালো। আর কৃষক হবে লাভবান অন্য দিকে রক্ষা হবে দেশী বক পাখির অভয় নিবাস।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বক আমাদের একটা প্রাকৃতিক বন্ধু। বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন কীটনাশক ব্যবহার কমাতে হবে। যাতে বিষাক্ত মাছ ও পোকামাকড় খেয়ে বক পাখি না মারা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আরও পড়ুন...

হত্যা মামলার আসামি ইয়াবাসহ গ্রেফতার

Al Mamun Sun

ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত

Al Mamun Sun

হরিপুরে ইএসডিও ও মুসলিম এইড UK যৌথ উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ

Al Mamun Sun
bn Bengali
X