29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, | সময় ৩:৩৩ অপরাহ্ণ

তজুমদ্দিন ফজিলাতুন্নেছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট,পাঠদান বিঘ্নিত।

মোঃইলিয়াছ তজুমদ্দিন(ভোলা) সংবাদদাতা।

ভোলা তজুমদ্দিন উপজেলা সদরে অবস্থিত ফজিলাতুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয় টি বিগত ১০বছর যাবত শিক্ষক সংকট নিয়ে ধুঁকছে। প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় স্কুলে নামমাত্র পাঠদান সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের চরম আকার ধারণ করায় কঠিন সময় পার করছে তজুমদ্দিন উপজেলার ফজিলাতুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষাখাতে এই বিদ্যালয়ের অনেক সুনাম ও অর্জন থাকলেও শিক্ষক ও জনবল সংকটে বর্তমানে তা তলিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
শিক্ষক সংকট, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকা, এক বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে অন্য বিষয়ে ক্লাস নেওয়া, জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় উপজেলার এই বিদ্যালয় টি। 
ফজিলাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ১১জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও ৪০০ছাত্রীর পাঠদানে শিক্ষক আছে পাঁচজন। এর বিপরীতে শূন্য পদ রয়েছে ০৯টি,প্রধান শিক্ষক একজন, সহকারী প্রধান শিক্ষক একজন,বাংলা বিষয়ে একজন, ভৌত বিজ্ঞান একজন, কৃষি শিক্ষায় একজন,সহ অফিস সহকারী একজন, অফিস সহায়ক একজন, নিরাপত্তা প্রহরী একজন,আয়া একজন। 
শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত ও মাহিয়া মাহি বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের সকল বিষয়ে একই শিক্ষকের উপর নির্ভর করতে হয়। আসলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক না হলে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত দিতে পারেন না। তাই প্রাইভেট টিউটরের ওপর নির্ভর ও বাসায় অতিরিক্ত চাপ নিতে হয়। 
 এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী অভিভাবক মোঃ হানিফ মুন্সি বলেন, ফজিলাতুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে আমরা তজুমদ্দিনের শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় মনে করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখানে শিক্ষক ও কর্মচারী সঙ্কট রয়েছে। এরফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। 
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক মোঃ শাহ আফজাল শাহিন বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী না থাকায় বাইরে থেকে লোক ডেকে বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং আমাদের জন্য।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ বেল্লাল হোসেন বলেন, বিগত ১০ বছর যাবত এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে,তাই আমি তিন জন অতিথি শিক্ষক দিয়ে কোনো রকমে পাঠদান চালিয়ে নিচ্ছি। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে একাধিক বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশাকরি আমাদের শিক্ষক সংকট দ্রুত পূরণ হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম জানান,শিক্ষক সংকটের বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। অতিদ্রুত বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট নিরসণ হবে বলে আশা প্রকাশ করি।

আরও পড়ুন...

ভালুকায় অগ্নিকান্ডে তিন ভাই বোনের মৃত্যু।

Al Mamun Sun

ঝিনা্ইদহে ৮বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই

Al Mamun Sun

নোয়াখালীতে ভোটের রাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত, মোটরসাইকেলে আগুন

Al Mamun Sun
bn Bengali
X