মোঃ ইমরান ইসলাম, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুর শহরে ঈদকে সামনে রেখে মার্কেটগুলো নারী ও শিশুদের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে।মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের কেনাকাটার মার্কেট এটি।এই মার্কেটগুলোতে দরাদরি চলে, সস্তায় মেলে, পোষাকের মানও ভালো।মঙ্গলবার (২৮ জুলাই)সকালে নিয়ামতপুর শহরের মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে,মার্কেটগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়।তবে এসব মানুষের মধ্যে পুরুষের চেয়ে তরুণী ও গৃহবধূদের উপস্থিতি বেশি।মার্কেটগুলোতে চলছে পোষাক থেকে শুরু করে নানা ধরনের কেনাকাটা।ক্রেতারা একটার পর একটা দোকান ঘুরে তাদের পছন্দমত কিনছেন পোষাক।তবে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। ঈদে মার্কেটগুলোতে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকলেও মানা হচ্ছে না, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি।করোনা ভাইরাসকে উপেক্ষা করে মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। মার্কেটে আসা ক্রেতা নাসির উদ্দীন জানান, আমরা ছোটবেলা থেকে এই মার্কেটগুলোতে কেনাকাটা করার জন্য আসি। এবারও এসেছি ঈদে কেনাকাটা করার জন্য, তবে গত বছরের তুলনায় এবার পোষাকের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এখানে মেয়েদের শাড়ি, থ্রি-পিস,ওড়না ও কসমেটিক্স পুরুষদের শার্ট-প্যান্ট, পাজামা, পাঞ্জাবি, জুতা-স্যান্ডেল ও দর্জিবাড়ি সহ সব কিছুই আছে নিয়ামতপুর শহরের মার্কেটগুলোতে।এই মার্কেটগুলোতে ৪০০ থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা দামের শাড়ি, ২৫০ থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা দামের থ্রি-পিস, ৭০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দামের ওড়না, ২০০ থেকে শুরু করে ২৫০০ টাকা দামের শার্ট ও প্যান্ট, ১০০ থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা দামের পাজামা ও পাঞ্জাবি, ২০০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা দামের জুতা ও ৭০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা দামের স্যান্ডেল রয়েছে।নিয়ামতপুর লিটন বস্ত্রালয় এন্ড মাহী ফ্যাশন এর বিক্রিয় কর্মী জুয়েল রানা এই প্রতিবেদকে বলেন, এবার পবিত্র ঈদ-উল-আজহা ঈদের কাপড়ের মূল আকর্ষণ হলো স্টার প্লাসের সোয়াতিসহ বিভিন্ন সিরিয়াল এবং দেশি ও ভারতীয় নায়িকাদের নামে লেইস লাগানো কাপড়। এছাড়াও বিভিন্ন কারুকাজ করা সুতি,সিনথেটিক, ভারতীয় জরিসহ লিলেনের মাঝে পাড় লাগানো কাপড় বেশি পছন্দ করছেন নারী ক্রেতারা। তবে এবার ঈদে এমব্রয়ডারি ও প্রিন্ট এর শাড়ি বেশি পছন্দ করছে গৃহবধূরা।এছাড়াও পিওয় জর্জেট, চিনন জর্জেট ও মসলিনের মাঝে ছোট বড় চুমকির কাজ করা ভারতীয় কাপড়গুলো ক্রেতারা বেশ পছন্দ করছেন। নিয়ামতপুর লিটন বস্ত্রালয় এন্ড মাহী ফ্যাশন মার্কেট এর মালিক লিটন জানান, এবার করোনা ভাইরাসের জন্য দোকানে ক্রেতা আসছে খুব কম, গত বছরের তুলনায় বেচা বিক্রি অনেক কম।আমাদের দোকানে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় কেনাবেচা চলছে।