বিজয় রায়, রাণীশংকৈল প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের দিঘীয়া গ্রাম।গ্রামের পথ ধরে যতদুর এগুবেন ততদুর শুধু হলুদের সমারোহ ,পথের দুইধারে সরিষার ফুলে বিস্তীর্ণ মাঠ হলুদে ছেয়ে গেছে। পথ থেকে গ্রামের দিকে তাকালে মনে হবে সরিষার হলুদ ফুলে ঘিরে রেখেছে পুরো গ্রাম।তাই এলাকার সকলে এই গ্রামের নাম দিয়েছেন “সরিষার গ্রাম।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়,আগে ধান তুলে গম, ভুট্টা আবাদ করা হতো। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথের উৎসাহে এবার দীঘিয়া গ্রামের প্রায় ৭০ একর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ বিঘা জমির সরিষার বীজ বিনামূলে ১৫ জন কৃষকের মাঝে বিতরণ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
সরিষা আবাদ মাত্র ৬০ থেকে ৭০ দিনে মত সময় লাগে।এতে মাত্র ২-৩ হাজার টাকা খরচে বিঘায় কমপক্ষে ৭ মণ করে সরিষা উত্তোলন করা যায়,যা বাজারে ১৮ শত থেকে থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি করতে পারে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, উপজেলা জুড়ে এবারে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম এবারে সরিষার আবাদের অর্জন হয়েছে যার পরিমাণ ৩ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর।
এর মধ্যে উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের দিঘীয়া গ্রামেই প্রায় ৭০ একর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকরা এবারে বারি সরিষা-১৪,১৫ বিনা সরিষা,৪,৯ জাতের সরিষা আবাদ করছে।
এদিকে দিনাজপুর জেলার সেতাগঞ্জ উপজেলা থেকে মৌ-চাষী সোহেল রানা ব্যাপক সরিষার আবাদ হওয়ার সু-বাদে তিনি সরিষার গ্রাম খ্যাত দিঘীয়া এলাকায় ১২০টি মৌচাক বক্স বসিয়ে সপ্তাহে দু-মণের মত অধিক খাঁটি মধু সংগ্রহ করেন। এতে তিনি প্রতি কেজি মধু ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করে থাকে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, সরিষা আবাদ খুব প্রয়োজনীয় একটি ফসল,এ এলাকার মানুষ সেটা বুঝতো না। আমি তাদের বুঝিয়ে এবারে একটি গ্রামে সরিষা আবাদে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি করে ব্যাপকভাবে এ এলাকায় সরিষার আবাদ করাতে পেরেছি।