35 C
Dhaka
শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, | সময় ১:৫৮ অপরাহ্ণ

কলেজে শহীদ মিনার না থাকায় ফুল দিতে পারে নি শিক্ষার্থীরা ।

মোঃ ইমরান ইসলাম, নিয়ামতপুর(নওগাঁ)প্রতিনিধিঃ

প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। কিন্তু নেই শহীদ মিনার। তাই একদিনের জন্য শহীদ মিনার তৈরি করে সীমিত পরিসরে একুশে ফেব্রুয়ারির আয়োজন করা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যদিও সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক।১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর সরকারি কলেজ। কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো শহীদ মিনার তৈরি হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা জানতে পারছে না ভাষার সঠিক তাৎপর্য, জানাতে পারছে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা।২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। এদিন দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। তবে প্রতিবারের মতো এবারও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো নিয়ামতপুর সরকারি কলেজ সহ উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।এ বিষয়ে নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী সাথী খাতুন জানায়, কলেজে শহীদ মিনার নেই, তাই ফুল দিতে পারি না। শহীদ মিনার না থাকার কারণে ২১শে ফেব্রুয়ারি ভালোভাবে পালন করতে পারি না। এছাড়া ওইদিন সব ছাত্র-ছাত্রী কলেজে আসতে চায় না।এ বিষয়ে নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইমরান হোসেন জানায়, ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছিলেন, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি, যাদের জন্য আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি সেই শহীদের জন্য আমরা গর্ব করি। দুঃখের বিষয় আমাদের কলেজে শহীদ মিনার নেই। আমাদের কলেজে একটি শহীদ মিনার তৈরির দাবি জানাই।উপজেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ মিলিয়ে ২০৪টি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপজেলায় ২০৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি ১৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি।উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ভাবিচা, পাড়ইল এবং বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদে শহীদ মিনার রয়েছে। তবে হাজিনগর, চন্দননগর, সদর, রসুলপুর ও শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদে শহীদ মিনার নেই।নিয়ামতপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মমতাজ হোসেন মন্ডল বলেন, নিয়ামতপুর সরকারি কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে শহীদ মিনারের প্রয়োজন। বর্তমান প্রজন্ম ২১ ফেব্রুয়ারি কেনো পালন করে সেসব বিষয়ে জানতে পারবে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেখানে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, উপজেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক,  মাদ্রসা ও কলেজ মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০৪টি। এরমধ্যে ২৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকি ১৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। আশা করছি অচিরেই সেইসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার তৈরি করা হবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন...

নোয়াখালীতে পিকআপ-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

Al Mamun Sun

রাণীশংকৈলে বড়দিনের উৎসব পালিত

Al Mamun Sun

ইসলামপুরে শীতার্তদের মাঝে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর শীতবস্ত্র বিতরণ

Al Mamun Sun
bn Bengali
X